নিজস্ব প্রতিবেদক:
কাশ্মীরে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের পর চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এর মাঝেই ফ্রান্সের সঙ্গে ২৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করে ভারত। তবে চুক্তির মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় তিনটি রাফায়েল ভূপাতিত হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এই যুদ্ধবিমানগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পরিস্থিতির মধ্যে গত মঙ্গলবার পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। জবাবে পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে ছিল তিনটি রাফায়েল ও একটি রাশিয়ান মিগ-২৯।
রাফায়েল নিয়ে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এর বিপুল মূল্য ও উচ্চপ্রযুক্তি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি। ইউরেশিয়ান টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ৪.৫ প্রজন্মের রাফায়েল জেট একসাথে ৪০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও আঘাত হানতে সক্ষম। এটি রাডার জ্যামিং, হুমকি সনাক্তকরণ, রাডার ডিকয় এবং ভূমি-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। কিন্তু বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এসব প্রযুক্তি কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে না পারায় উঠেছে কার্যকারিতা ও চুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন ২৬টি রাফায়েল সরবরাহ সম্পন্ন হবে এবং ফ্রান্স ও ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিটি রাফায়েলের মূল্য প্রায় ২৪ বিলিয়ন রুপি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, চলমান পরিস্থিতিতে ভারত চুক্তিটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হতে পারে।
এই ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সামরিক আধিপত্য কৌশল নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।