নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রাক্কালে হামাসের হাতে বন্দিদশায় থাকা মার্কিন নাগরিক ও ইসরাইলি সেনাসদস্য এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। সোমবার (১২ মে) এডানকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাস, যার খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, “মার্কিন নাগরিক ও জায়নবাদী সেনা এডান আলেকজান্ডারকে এইমাত্র মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।”
গাজা ভূখণ্ডে রেডক্রসের তত্ত্বাবধানে খান ইউনিস থেকে তাকে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। ইসরাইলি সরকারও এডান আলেকজান্ডারের দেশে ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই মুক্তির ঘটনাটি ঘটে এমন সময়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরে সৌদি আরব পৌঁছাতে যাচ্ছেন। তার সফরের ঠিক আগেই এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
এর আগে ট্রাম্পের বিশেষ দূত অ্যাডাম বোয়েলার বলেছিলেন, “এডানকে মুক্তি দেওয়ার খবর ইতিবাচক। তবে হামাসের হাতে থাকা আরও চার মার্কিন নাগরিকের লাশ ফেরত দেওয়ার জন্যও আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরাইলে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরাইলি তথ্যমতে, এখনো ৫৮ জন জিম্মি গাজায় বন্দি এবং তাদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য, ওই হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজায় লাগাতার বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সব জিম্মিকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দেশটির অভ্যন্তরে ক্ষোভ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে এডান আলেকজান্ডারের মুক্তি যুদ্ধবিরতি আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।