নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিন দফা দাবি আদায় না হলে আজ (১৫ মে) থেকে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেন এবং কাকরাইল মোড় থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দক্ষিণ পাশের সড়ক ও মৎস্য ভবনগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
বুধবার (১৪ মে) রাতভর যমুনার সামনে অবস্থান করার পর বৃহস্পতিবার সকালেও আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং বেলা ১১টার পর সর্বস্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের আশ্বাস আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ছাড়া আমরা এই অবস্থান থেকে সরব না।”
আন্দোলনে ইতোমধ্যে একাত্মতা জানিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। বুধবার রাত ১২টার দিকে জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ অনেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। এর আগেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করলে গুলিস্তান ও মৎস্য ভবনের কাছে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। কাকরাইল মসজিদ ক্রসিংয়ে পৌঁছানোর পর পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চায়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি:
১. আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জবির ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।
২. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন করতে হবে।
৩. জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।