নিজস্ব প্রতিবেদক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার শুল্কনীতি বা ট্যারিফ আরোপের মূল লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক সরঞ্জাম ও আধুনিক প্রযুক্তি-সম্পর্কিত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এটি মোটেও টি-শার্ট বা জুতা তৈরির মতো পণ্য নিয়ে নয়।
রবিবার নিউ জার্সি থেকে এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এমন পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেওয়া, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ট্যাংক, যুদ্ধজাহাজ এবং কম্পিউটার চিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যবহৃত হয়।
ট্রাম্প বলেন, তারা বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তৈরি করতে চান—স্নিকার্স বা মোজা নয়। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি থাকা জরুরি নয় বলেও ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের বক্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত।
তবে তার এ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় টেক্সটাইল সংগঠন ও অ্যাপারেল ও ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনগুলো বলছে, বর্তমানে আমেরিকানরা যে জামাকাপড় ও জুতা পরে, তার ৯৭ শতাংশই আমদানি করা হয়। নতুন শুল্ক আরোপ মানেই উৎপাদন ব্যয় ও পণ্যের দাম বাড়বে।
ট্রাম্প গত শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন এবং অ্যাপলের আমদানিকৃত আইফোনেও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। তবে রবিবার তিনি জানান, আলোচনার সুযোগ দিতে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।