২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জবির শিক্ষার্থীদের ভাবনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত

ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:

‘জুলাই ঘোষণাপত্র: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২২ জুন ২০২৫) ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) আয়োজনে সিএসই বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ছাত্র সংগঠনের সমন্বিত সহ-অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের স্বতন্ত্র মিশন, ভিশন ও দিকনির্দেশনা বিদ্যমান; তারা স্বীয় চিন্তা-চেতনা ও যৌক্তিক পরিপ্রেক্ষিতে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করে থাকে।” তবে, রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্‌দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা।

অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্‌দীন বলেন, “জুলাইয়ের স্বীকৃতি না পেলে আমরা জুলাই যোদ্ধারা কেউই নিরাপদ নই। ফ্যাসিবাদ-বিরোধী আন্দোলনে নিবেদিত সকল ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে যেন কোনো প্রকার বিভাজনের সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সকল দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া, পঙ্গুত্ব বরণ করা কিংবা আহত হওয়া ব্যক্তিদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে তাদের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন জুলাই বিপ্লবকে ‘মবোক্রেসি’ (Mobocracy) হিসেবে আখ্যায়িত করা না হয়, সে লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই স্বীকৃতি আদায় করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের উত্থানের মূল কারণ বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি। অবৈধ নির্বাচনের হোতা ও বিচারব্যবস্থা ধ্বংসকারীরাই ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে যেন পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, সে বিষয়ে আমাদের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। এজন্য একটি জবাবদিহিতামূলক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। কেবল তাহলেই কেউ ফ্যাসিবাদী শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারবে না।”

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্য ও মতামত প্রদান করেন।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top