আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে। রোববার (২২ জুন) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৮০ ডলারে, যা গত দিনের তুলনায় ৩.৯ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুডের দাম ৪.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ ডলার।
তেলের এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস ০.৬ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে, এবং মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দামেও সামান্য পতন দেখা গেছে।
মূলত ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতের কারণে তেলের বাজারে অস্থিরতা বেড়েছে। যুদ্ধের বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা থাকায় বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। মাঝে-মধ্যে উত্তেজনা কমে গেলে তেলের দাম সাময়িকভাবে স্থিতিশীল হলেও, হঠাৎ করে বড় সিদ্ধান্ত বা সংঘর্ষ বাজারকে আবার উত্তাল করে তুলছে।
বিশ্বের অন্যতম বড় তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরান। দেশটি হরমুজ প্রণালীর পাশেই অবস্থিত, যা বিশ্ববাজারে জ্বালানি সরবরাহের একটি প্রধান নৌপথ। সম্প্রতি ইরান এই প্রণালী বন্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এই ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে আরও চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি হরমুজ প্রণালী সত্যিই বন্ধ করা হয়, তবে তেল সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটবে। এর সরাসরি প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতেই পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে বড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে শেয়ারবাজার।