নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এ মাইলফলক স্পর্শ করল। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ:
-
আইএমএফের ১৩৪ কোটি ডলারের দুটি কিস্তি
-
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে প্রাপ্ত ৯০ কোটি ডলার
-
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর ঋণ সহায়তা
-
প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক প্রবণতা
-
গত ১০ মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রি বন্ধ রাখা
বর্তমান পরিস্থিতি:
-
মোট রিজার্ভ: ৩০.৫১ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ২৫ বিলিয়ন ডলার)
-
ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ: প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার
-
আমদানি সক্ষমতা: ৩.৫ মাসের (সাধারণ মানদণ্ড পূরণ)
পটভূমি:
২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও পরবর্তীতে:
-
অর্থপাচার
-
কোভিড-পরবর্তী আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি
-
বাণিজ্য ঘাটতি
-
টাকার অবমূল্যায়ন
এর ফলে রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছ থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়ে আবেদন করে।
খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, রিজার্ভ বৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখনও চ্যালেঞ্জিং অবস্থায় রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা রপ্তানি বৃদ্ধি ও আমদানি সংকোচনের ওপর জোর দিচ্ছেন।