আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বরখাস্ত করেছেন। কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের পর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে ছিলেন পেতংতার্ন।
সোমবার আদালত ৭-২ ভোটে এ সিদ্ধান্ত নেয়। বরখাস্তের পক্ষে রায় দেন আদালতের সাতজন বিচারক, বিপক্ষে ভোট দেন দুইজন। পেতংতার্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি হুন সেনকে ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করে এবং থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডারকে নিজের ‘প্রতিপক্ষ’ বলে উল্লেখ করে দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন।
এ সিদ্ধান্তের ফলে পেতংতার্ন হলেন ক্ষমতাধর সিনাওয়াত্রা বংশের তৃতীয় রাজনীতিবিদ যিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা হারালেন। তার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
গত বছর আগস্টে পেতংতার্নের পূর্বসূরী স্রেত্থা থাভিসিনকেও একইভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ফোনালাপ ফাঁসের পর পেতংতার্নের প্রধান জোটসঙ্গী ভুমজাইথাই পার্টি জোট থেকে সরে যায়।
এক সংবাদ সম্মেলনে পেতংতার্ন ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।” তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।