১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার আলো ছড়ানোর ৩৭ বছর

সৈয়দ মাকসুমুল হক চৌধুরী সিয়াম, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:

ভাটিবাংলার জ্ঞানাধার খ্যাত নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার দেখতে দেখতে ৩৭ বছরে উপনীত হয়েছে। একটি পাঠাগারের এমন পথচলা কম কথা নয়। ১৯৮৮ সালের ১৬ জানুয়ারি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। একদল প্রাণোচ্ছল, উদ্যমী, স্বপ্নদেখা তরুণ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন।

হাঁটি হাঁটি পা পা করে অনেক বাধা বিপত্তি উৎরিয়ে পাঠাগারটি আজ তিন যুগ পেরিয়ে ৩৭ বছরে পা রেখেছে। বর্তমানে অত্র ভাটি অঞ্চলের শিক্ষা সংস্কৃতির এক অনন্য প্রতিষ্ঠান মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এটি জ্ঞান চর্চার এক রসালো সরোবর। সদস্যগণের মধ্যে বই লেনদেন, পাঠকের জন্য বই, পত্র-পত্রিকার ব্যবস্হা, পাঠচক্র, সভা সেমিনারের মাধ্যমে পাঠক সৃষ্টি, জাতীয় দিবসাদি পালন, বার্ষিক সাহিত্য সংকলন প্রকাশ, নাটক মঞ্চায়ন, সাহিত্য আসর সহ সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্মকা-, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে দিন দিন জ্ঞানের মশাল হাতে এগিয়ে চলেছে মোহনগঞ্জের বাতিঘর সাধারণ পাঠাগার। এটি একটি সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান।

পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৪৭ জন, আজীবন সদস্য ২৬৪ জন, সাধারণ সদস্য ৪১০ ও পাঠক সদস্য ৭৮ জন। বইয়ের সংখ্যা ৪৬৮৫টি। ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন বিকেল ৪টায় পাঠগার খোলা হয়, রাত ৮টা বন্ধ করা হয়। একটি ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে পাঠাগার পরিচালিত হয়। প্রতি বছর পবিত্র ঈদুল আজহার পরের দিন বার্ষিক সম্মেলন করে সর্বসম্মতিক্রমে কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া পাঠাগার পরিচালনার জন্য রয়েছেন একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান, একজন কেয়ারটেকার।

চলার পথে অনেক কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিক পাঠাগারটি পরিদর্শন করে ভূয়সী প্রশংসা করেন। মূলত মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুদান, সদস্যদের চাঁদা, ও পাঠাগার প্রেমিক, ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় চলে পাঠাগারের ব্যয় নির্বাহ। আলোকিত সমাজ বিনির্মানে পাঠাগার একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। ভাটিবাংলার জ্ঞানাধার মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগারও আলোকবাহী হয়ে সমাজকে আলোকিত করে যাচ্ছে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top