আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে যে তারা তেলআবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘প্যালেস্টাইন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। রোববার (১৭ আগস্ট) ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, এই হামলার ফলে বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে এবং লাখো ইসরাইলি নাগরিক আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
জেনারেল সারি তার বিবৃতিতে স্পষ্ট করেন, “এই সামরিক অভিযান গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান গণহত্যা ও মানবিক সংকটের প্রতিক্রিয়ায় পরিচালিত হয়েছে।” তিনি গত দুই বছর ধরে গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলাকে “ফিলিস্তিনি ও মুসলিম রক্তের সাগর” হিসেবে বর্ণনা করেন।
ইয়েমেনি এই সামরিক মুখপাত্র ইসলামি বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “গাজার বেসামরিক জনগণের ওপর গণহত্যা ও অবরোধের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।” তিনি সতর্ক করে দেন যে ইয়েমেনি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে, যতক্ষণ না গাজার অবরোধ প্রত্যাহার করা হয় এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর ইসরাইলের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। ইয়েমেনের এই হামলার দাবি নিঃসন্দেহে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতি বা ফ্লাইট স্থগিতের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী গত কয়েক বছর ধরে ইসরাইল ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। তবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি আঞ্চলিক শক্তি ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।