আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভাপতিত্বে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং শীর্ষ ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে যুদ্ধবিরতি ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়।
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, “ইউক্রেনের অবকাঠামো ধ্বংস ও মানবিক সংকট অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ট্রাম্প এই অচলাবস্থা ভাঙতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।” ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন জোর দিয়ে বলেন, “প্রতিটি শিশুকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। পরবর্তী বৈঠক যেন যুদ্ধবিরতি ছাড়া না হয়।”
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, “স্থায়ী শান্তির জন্য আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।” ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ত্রিপক্ষীয় আলোচনাকে “সমাধানের একমাত্র পথ” হিসেবে অভিহিত করেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এটি কেবল ইউক্রেনের নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, সমগ্র ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্বের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে।” ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেন, “১৯৪৪ সালে আমরা রাশিয়ার সাথে শান্তি স্থাপন করেছিলাম, ২০২৫ সালেও আমরা সেই সাফল্য পুনরাবৃত্তি করতে পারব।”
এই বৈঠকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি যুদ্ধ পরবর্তী নিরাপত্তা কাঠামো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সম্মিলিত উদ্যোগ রাশিয়ার ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হলে যুদ্ধবিরতির পথ সুগম হতে পারে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়া এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে।