নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গঠিত ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার বৈঠক কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রেলভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা তাদের পাঁচ দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, সমস্যা সমাধানে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির পাঁচজন সদস্য এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পূর্ণ কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে পুনরায় বৈঠকে বসবেন বলে তিনি জানান। উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটনাকে “অনাকাঙ্ক্ষিত” আখ্যায়িত করে বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের প্রতিনিধি ক্ষমা চাইবেন।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা জানান, তারা তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করে সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত অবস্থান জানাবেন। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষমা প্রার্থনা, গঠিত কমিটির পুনর্গঠন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বহন, হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ডিসিপ্লিনারী একশন। জড়িত কর্মকর্তাদের বরখাস্তকরণ।
উল্লেখ্য, ৯ম গ্রেডে ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার অভিযোগে তিন দফা দাবি নিয়ে ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’ নামক প্লাটফর্মের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং及 সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের জন্য সবার জন্য সমান পরীক্ষার সুযোগ, ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের জন্য সমান সুযোগ, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া যারা নিজেদের প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।
বুধবার ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে বিক্ষোভ করে, যেখানে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।