নিজস্ব প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দিরের জায়গায় মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। বুধবার রেল ভবনে দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য রেলওয়ে জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ বিবৃতি দেন।
উপদেষ্টা হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া খবরকে ‘স্রেফ গুজব’ আখ্যায়িত করে বলেন, “সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পুরনো তীর্থস্থান। সেখানে মসজিদ নির্মাণ অথবা কালেমা খচিত পতাকা স্থাপনের কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই।” তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ফেসবুকের কাল্পনিক ঘটনা শুনে如果有人 এই বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে তবে সরকার তা কঠোর হাতে দমন করবে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পুরনো তীর্থস্থান। সেখানে মসজিদ নির্মাণ অথবা কালেমা খচিত পতাকা স্থাপনের কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কাল্পনিক ঘটনা শুনে কেউ যদি এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে সরকার তা কঠোর হাতে দমন করবে।
তিনি বলেন,মন্দিরের পুরনো কাঠামো সংস্কার করে নতুনভাবে উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর খিলক্ষেতে একটি মন্দির ও দু’টি মসজিদে জমি বরাদ্দ দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল এটা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে। একই স্থানে মসজিদ ও মন্দিরের জন্য জমি প্রদানের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ একটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
তিনি বলেন, রাজধানীর খিলক্ষেতে একটি মন্দির ও দু’টি মসজিদে জমি বরাদ্দ দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল এটা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে। একই স্থানে মসজিদ ও মন্দিরের জন্য জমি প্রদানের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ একটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে সবাই নিজ-নিজ ধর্মের অনুশাসন পালন করবে। কেউ কারো জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
এরআগে চন্দ্রনাথ মন্দির ইস্যুতে দিনতিনেক আগে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘মসজিদ যদি কারো তৈরিই করতে হয় তাহলে মুসলিম পপুলেটেড এরিয়া আছে। চন্দ্রনাথের পাহাড়ের ওপরে মসজিদ বানাতে যাবে, ওখানে নামাজ পড়তে যাবে কে? এটা আসলে গুজব। এটার কোনো ভিত্তি নাই।’