১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কারচুপির অভিযোগে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের

নিজস্ব প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে কারচুপি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টারও বেশি সময় আগে এই ঘোষণা আসে।

তানজিলা হোসাইন বৈশাখী বলেন, শিবিরপন্থীরা সাংবাদিকদের কার্ড ব্যবহার করে রেস্ট্রিকটেড জোনে প্রবেশ করছে, যেখানে অন্য প্রার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আমাদের প্যানেলের সদস্যদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এতে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শিবির নেত্রী মেঘলার কারচুপির কারণে একটি হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত মেশিন দিয়ে ভোট গণনার বিরোধিতা করায় প্রশাসন তা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছিল। কিন্তু একই উৎস থেকে আনা ব্যালট পেপার দিয়েই ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে, যেখানে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। সব হলে তাদের পোলিং এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি, কিন্তু শিবিরপন্থী এজেন্টদের সকাল থেকে নির্বিঘ্নে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রদল সমর্থিত এই প্রার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ব্যালট পেপার ছাপিয়েছে। প্রশ্ন থেকে যায়, সেই অতিরিক্ত ব্যালটের ১০ থেকে ২০ শতাংশ শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা। মেয়েদের হলে আইডি কার্ড বদলে একই শিক্ষার্থীদের একাধিকবার ভোট দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন নীরব থেকেছে।

তানজিলা হোসাইন বৈশাখীর অভিযোগ, শিবিরপন্থী সাংবাদিকরা তাদের প্রার্থীদের প্রতি অসদাচরণ করেছে এবং মব তৈরি করার চেষ্টা করেছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। এটি একটি কারচুপির নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন।

তিনি বলেন, “আমরা দাবি করেছিলাম, জামায়াত নেতার ছাপানো ব্যালট বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে। কিন্তু ভিসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সেই দাবি মানেননি। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচন মনিটর করার দায়িত্ব জামায়াত নেতার কোম্পানিকে দিয়ে শিবিরকে সরাসরি ভোট পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতিফলন ঘটছে না। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি।”

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top