আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। তারা হলেন মেরি ই. ব্রানকো, ফ্রেড র্যামসডেল এবং শিমন সাকাগুচি। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য তাদের এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিত ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
মেরি ই. ব্রানকো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির গবেষক, ফ্রেড র্যামসডেল যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিক্সের গবেষক এবং শিমন সাকাগুচি জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।
‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ বিষয়ক তাদের গবেষণা চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমের এমন একটি অংশ, যা শরীরের নিজস্ব উপাদান (self-antigens) ও ক্ষতিকারক নয় এমন বহিরাগত উপাদানের (যেমন কিছু খাদ্য উপাদান বা উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া) বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া প্রতিরোধ করে। এর মাধ্যমে মানবদেহে স্বাভাবিক ইমিউন ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হয়, যা নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
নোবেলজয়ী এই তিন বিজ্ঞানী প্রত্যেকে পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা)। যদি একাধিক ব্যক্তি কোনো বিভাগে পুরস্কৃত হন, তাহলে পুরস্কারের অর্থ তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করেছে সুইডেনের স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট। অন্যদিকে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স।
এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা বদলে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।