মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
অবশেষে ঘোষণা করা হলো বিএনপি প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা। ৩০০ আসনের চরম হিসেব-নিকেশ, যাচাই বাছাই শেষে যোগ্যদের মনোয়ন দিয়েছে দলটি। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে রাজবাড়ী-১ এবং ২ আসন বিএনপির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন রাজবাড়ী-১ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ামকে। তবে স্থগিত রাখা হয়েছে, পাংশা, বালিয়াকান্দি এবং কালুখালী নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থীর নাম। এ আসন নিয়ে বড় চ্যালেঞ্চের মুখে বিএনপি।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, এখানে সঠিক প্রার্থীকে মনোয়ন না দেওয়া হলে রীতিমত অস্তিত্ব সংকটে পড়তে হবে। কারণ এ আসন থেকে পলাতক আওয়ামী লীগের রেলমন্ত্রী ছিলেন জিল্লুল হাকিম। ফলে বিএনপিকে জয়ী করে আনতে হলে যার জনপ্রিয়তা বেশি তাকেই দলের টিকিট দিতে হবে।
রাজবাড়ী-২ থেকে এবার নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় আছেন, সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন। তবে নাসিরুল হক সাবু শারীরিক ভাবে বেশ অসুস্থ এবং বয়স বিবেচনায় বেশির ভাগ নেতাকর্মী বেছে নিতে চান তরুণ নেতা হরুন অর রশীদকে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বক্তব্য, প্রতিহিংসা, চাঁদাবাজি, মারামারি থেকে দলকে রক্ষা করতে হলে হারুনকে প্রয়োজন। তা না হলে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে পারে।
এ আসনে বরাবরই প্রভাব বিস্তার করেছে বিএনপির প্রার্থী। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা হয়েছে। সেই অবস্থান থেকে মুক্তি মিললেও শঙ্কা রয়েছে, আবারও কোনঠাসা হওয়ার। অনেকে শঙ্কা করছেন, এ আসন শরিক দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিনকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে তা কোন ভাবেই মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তারা বলছেন, রাজবাড়ী-২ আসনে দলীয় প্রার্থী না থাকলে গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে। এমনকি কোনঠাসা হয়ে পড়বে দলের ত্যাগি ও বঞ্জিত নেতারা। তারা কোন দিন জোটের এ প্রার্থী নামও শোনেননি, চেহারাও দেখেননি।
মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলেন, গত সরকারের আমলে বিপুল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও তার পুত্র মিতুল হাকিম। তাদের দেওয়া বিপুল অর্থ ও অস্ত্র আছে পলাতকদের কাছে। ভোটে বিএপপির শক্ত প্রার্থী না থাকলে ভোটে নৈরাজ্য, ভয়ভীতি এমনকি ভোটার আসতে বাঁধা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে যে কোন উপায়ে, হারুন অর রশীদকে তারা দলীয় প্রার্থী হিসেবে চান যেন ৩ উপজেলার মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে।