মাহমুদুর রহমান নাঈম, ঢাকা প্রতিনিধি:
সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ যে জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো প্রকাশ করেছে, তাতে কওমি শিক্ষাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা এবং কওমি মাদরাসাকে এক প্রকার ‘অস্বীকৃত’ হিসেবে চিহ্নিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, জাতীয় কওমি ঐক্য
এছাড়াও এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহদী এই বিষয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, চব্বিশ পূর্ববর্তী সময়ে হাসিনা সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। যার ফলে সেই স্বীকৃতি হয়েছিল অকার্যকর, প্রহসনমূলক এবং কওমি শিক্ষার মূল স্রোতকে উপেক্ষা করে তৈরি একটি ভুয়া কাঠামো। আজ একই বৈষম্যমূলক ফ্যাসিবাদী মানসিকতার ওপর দাঁড়িয়ে কওমি শিক্ষাকে অস্বীকার করার যে দুঃসাহস দেখানো হয়েছে, তা জাতির কাছে স্পষ্ট করে দেয়, রাষ্ট্র কওমি শিক্ষাকে ছোট করার পুরনো নীতি থেকে সরে আসেনি।
২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে দেশকে পুনরায় মুক্ত করার সংগ্রামে কওমী সন্তানেরা ছিল সম্মুখসারির সংগ্রামী ও যোদ্ধা। প্রায় শতাধিক কওমি ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে। আহতের সংখ্যা সহস্রাধীক। আজ সেই রক্তের মর্যাদাকে পদদলিত করে কওমি মাদরাসাকে ‘অস্বীকৃত’ দেখানো শুধু অন্যায় নয়; এটি শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রকাশ্য বিশ্বাসঘাতকতা।
কওমি ঐক্যের প্রতিনিধিরা জানান, জাতীয় যোগ্যতা কাঠামোতে কওমি শিক্ষার কোনো স্তর নির্ধারণ করা হয়নি, বরং কওমি মাদরাসাকে সরকারিভাবে ‘অস্বীকৃত’ দেখানো হয়েছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আমরা স্পষ্টভাবে জানতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোন যুক্তিতে এমন বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নিল? এর পেছনে কি কোন গোষ্ঠীর প্ররোচনা বা রাজনৈতিক ইন্ধন আছে? সরকার কি কওমি সনদের ‘মাস্টার্স সমমান’ স্বীকৃতি প্রত্যাহারের ষড়যন্ত্র করছে? যদি সত্যিই তারা স্বীকৃতি প্রত্যাহার করতে চায়, তবে গোপনে নয় বরং খুলে জাতির সামনে ঘোষণা করতে হবে।
জাতীয় কওমি ঐক্য-এর স্পষ্ট বক্তব্য, কওমি শিক্ষার মর্যাদা, মান এবং সনদের স্বীকৃতি নিশ্চিত না করা হলে সাধারণ কওমি ছাত্ররা রাজপথে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। কওমি শিক্ষার ন্যায্য অধিকার কোনো ষড়যন্ত্র, বৈষম্য বা প্রশাসনিক গোপন খেলার টেবিলে খর্ব হতে দেওয়া হবে না।