নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেখ হাসিনার সরকারের পতনে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপির সঙ্গে গোপন আসন ভাগাভাগির অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবার (২৭ মে) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই এনসিপি সিট ভাগাভাগির আলোচনায় যায়নি।
তিনি লিখেছেন, “সম্প্রতি এক রাজনৈতিক দলের প্রধান এক অনলাইন টকশোতে বলেছেন, ‘এনসিপি কিন্তু পর্দার অন্তরালে বিএনপির সঙ্গে সিট নেগোসিয়েশন করেছে।’ আমরা এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর মনে করি। এনসিপি একটি স্বতন্ত্র দল হিসেবে সারাদেশে সাংগঠনিক বিস্তৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।”
নির্বাচন পেছাতে এনসিপি আগ্রহী—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দল গোছানোর স্বার্থে নির্বাচন পেছানোর জন্য এনসিপি কোনো দাবি করেনি। বরং আত্মপ্রকাশের পর থেকেই আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছি।”
হাসনাত আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ আমলে ভুয়া নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আসন্ন নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ, যেখানে জনগণ মুক্তভাবে ভোট দিতে পারে। এজন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি জানান, এনসিপি মনে করে, যথাযথ সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন একপেশে হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জুলাই চার্টার ও ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জুলাই চার্টারের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ অবিলম্বে জারি করতে হবে।”
হাসনাত সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপের প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেনতেন ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন যেন কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার পথ না হয়; বরং অর্থবহ রাজনৈতিক উত্তরণ ও গণতান্ত্রিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হোক।”