রুবেল ফরাজী, নিজেস্ব প্রতিবেদক:
মাদারীপুরের রাজৈরে শহীদ পরিবারের বাড়িতে ঈদ উপহার দিয়ে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় দুই নারী নেত্রীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ঈদের আগে ও পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি টিম রাজৈর উপজেলার শহীদ পরিবারের খোঁজখবর নিতে এবং ঈদের উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিতে এলাকায় যান। ঈদের আগে ১৯টি শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে উপহার প্রদান করেন তারা। ঈদের পরেও তারা দুইদিন ধরে শহীদ পরিবারগুলোতে যান, ঠিক সন্তানের মতো করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন।
ঘটনার দিন উপহার প্রদান শেষে ফেরার সময় মিজান পরিবহনের একটি বাসের হেল্পার দুই নারী নেত্রীকে লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করেন এবং শহীদ পরিবারের জন্য বহন করা উপহার সামগ্রীর ব্যানার দেখে কটূক্তি করেন। প্রতিবাদ জানালে হেল্পার হুমকি দেন এবং মোবাইলে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাসচালক ও হেল্পার ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ট্রাকটিকে ৪-৫ বার ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে রাস্তার পাশে একটি যাত্রাবিরতিতে বাসটি দাঁড়ায় এবং ট্রাকটিকে এমনভাবে রাস্তায় চাপ দেওয়া হয় যেন সেটিও বাধ্য হয়ে একই স্থানে থেমে যায়। তখন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় আন্দোলনকারীদের উপর। রেস্টুরেন্টের ছাদের সিসিটিভি ফুটেজে হামলার পরিকল্পনার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আহত নেত্রীদের একজন জানান, “মেয়েদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে জেনেও কিছু মানুষ এই ঘটনা নিয়ে উপহাস করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কখনো থেমে থাকবে না। আমরা নিপীড়িতদের পাশে আছি এবং থাকব।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলা প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ হতে পারে। তবে তারা আইনগত প্রক্রিয়ায় বিচার চেয়ে যাবেন এবং শহীদ পরিবারের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা আগের চেয়ে আরও দৃঢ় হয়েছে।