১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

স্মৃতিশক্তি হারানো ব্যক্তির নামাজ কাজা হয়ে গেলে করণীয়

যে কোনো অসুস্থতার কারণে কেউ যদি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে অথবা শারীরিকভাবে এতটা অক্ষম হয়ে যায় যে মাথা নেড়ে ইশারায় নামাজ আদায়ের সক্ষমতাও তার না থাকে এবং এ অবস্থা একদিন ও এক রাতের বেশি দীর্ঘ হয়, তাহলে তার ওপর ওই সময়ে আর নামাজ ফরজ থাকে না। তাই বার্ধক্য বা কোনো রোগের কারণে কেউ যদি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে; এ রকম অবস্থা হয় যে নামাজের সময় মনে রাখতে পারে না, নামাজ পড়ার সময় রাকাত মনে রাখতে পারে না, তাহলে তার ওপর আর নামাজ ফরজ থাকে না।

তবে ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যেহেতু নামাজ, তাই তার পরিবার বা অভিভাবকদের উচিত তাকে নামাজ পড়তে যথাসম্ভব সাহায্য করা। তাকে নামাজ পড়িয়ে দেওয়া। এটা করলে তারা সওয়াব পাবেন। কিন্তু তার ওপর নামাজ ফরজ না হওয়ার কারণে কখনো সাহায্য করার কেউ না থাকলে, নামাজ কাজা হয়ে গেলে ওই নামাজ কাজা করতে হবে না বা তার মৃত্যু হলে সেগুলোর ফিদিয়াও দিতে হবে না।

একজন মানুষ যতক্ষণ মানসিকভাবে সুস্থ থাকে এবং ইশারায় নামাজ আদায় করতে পারে, ততক্ষণ সে নামাজ আদায়ে সক্ষম বিবেচিত হয় এবং নামাজ তার ওপর ফরজ থাকে। মাথার ইশারায় নামাজ আদায় করতে পারলে তার কর্তব্য নামাজ আদায় করার চেষ্টা করা, আগে কাজা হওয়া নামাজগুলোও কাজা করার চেষ্টা করা। ইশারায় নামাজ আদায় করার সক্ষমতা থাকা অবস্থায় ওই সময়ের নামাজ বা আগের কাজা নামাজের জন্য ফিদয়া আদায় করা যাবে না। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্তান বা উত্তরাধিকারীদের অসিয়ত করে যাওয়া যায় যে এত ওয়াক্ত নামাজ তার কাজা হয়েছে, কাজা আদায় করার আগে মারা গেলে তারা যেন এই নামাজগুলোর ফিদয়া আদায় করে দেয়।

নামাজের ফিদয়া দেওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ও বিতরের নামাজসহ ছয় ওয়াক্ত নামাজের প্রতিটির জন্য পৌনে দুই সের গম অথবা এর বাজারমূল্য দান করা অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুই বেলা পেটপুরে খাবার খাওয়ানো। (হেদায়া ১/২২২)

 

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top