মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ী সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে পদায়নকৃত আওয়ামী দোসর মোঃ হাবিবুর রহমান (২৫৮৮) এর পদায়ন বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (০৭ জুলাই) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং ফ্যাসিজম বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সদস্যরা।
রাহিত মোল্লা, আনতাফ, তুষার, রাসেল বলেন, রাজবাড়ীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ রাজবাড়ী সরকারি কলেজ। এ কলেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২ জুলাই উপাধ্যক্ষ পদে প্রফেসর মোঃ হাবিবুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি ২০১০ সালের ৪ মে থেকে গত ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর কলেজে কর্মরত ছিলেন। এ কর্মকালীন সময়ে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন বড় সমর্থক হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো। গত ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত কলেজে থাকা অবস্থায় জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করেছেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবসের বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। কলেজের বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রী নিবাসের দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ নেত্রী ও সমর্থকদের নিয়ম বহির্ভূতভাবে সীট বরাদ্দ দিতেন। এখন পর্যন্ত তাঁর ফেসবুক আইডিতে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন গুণবাচক ছবি সংবলিত লেখা রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজবাড়ী শাখার নেতাদের সাথে তার এখনো নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। তার উপাধ্যাক্ষ পদে পদায়ণ হবার পর রাজবাড়ী শাখার সভাপতি ও কলেজ শাখা সভাপতি ফেসবুকে অভিনন্দন দিয়েছেন এবং তারা উচ্ছ্বাসিত।
তারা আরও বলেন, রাজবাড়ীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া তার অতীত কর্মকান্ড সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৬ই জুলাই “জুলাই শহিদ দিবস এবং ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” এ প্রশাসনিক পদ বলে কলেজ স্টেজে বক্তৃতা দিবেন যা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিবে না। এ কারণে এ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে উপাধ্যক্ষ পদে প্রফেসর মোঃ হাবিবুর রহমানের পদায়ন আদেশ বাতিলের দাবী জানান।
পরে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর অধ্যক্ষের মাধ্যমে ও জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে।