নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী জান্নাত আরা রুমির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের (ধানমন্ডি থানা) সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঝিগাতলার জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ঝিগাতলা পুরান কাঁচা বাজারের পাশে অবস্থিত একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাত আরা রুমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ড—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, রুমি পারিবারিকভাবে মানসিক চাপে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
নিহত জান্নাত আরা রুমি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার নাজিরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা মো. জাকির হোসেন এবং মা নুরজাহান বেগম।
নিহতের সাবেক স্বামী মো. বিপ্লব সরকার জানান, চার থেকে পাঁচ মাস আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর আগেও রুমির আরেকটি বিয়ে হয়েছিল, সেখানেও তার ডিভোর্স হয়েছিল। তিনি বলেন, প্রথম স্বামীর ঘরে রুমির আট বছরের একটি মেয়ে এবং তার সঙ্গে সংসারে সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে রুমির সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না।
তিনি আরও জানান, জান্নাত আরা রুমি আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এর পর এনসিপির রাজনীতিতে যুক্ত হন।
নিহতের খালাতো ভাই সোয়েইব হোসেন জানান, রুমি ঢাকায় ওই ছাত্রী হোস্টেলে একাই বসবাস করতেন। তার দুই সন্তান বর্তমানে নওগাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকছে।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখতে পায়। হোস্টেলের কাজের বুয়া সকালে দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায় এবং ভেতরে ঢুকেই এ দৃশ্য দেখতে পান।
তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।