আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ঘোষিত বিক্ষোভকে ঘিরে দেশটির বিভিন্ন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে প্রথমে কয়েকটি শহরে সব ধরনের সভা–সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়, পরে একই নিষেধাজ্ঞা জারি হয় ইসলামাবাদেও।
সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, জননিরাপত্তার স্বার্থে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা কঠোরভাবে বলবৎ করা হবে। তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার বিভিন্ন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জেলখানায় সাক্ষাৎ সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত কারা প্রশাসনের এখতিয়ার—এটি রাজনৈতিক ইস্যু নয়।
ইমরান খানের দুই ছেলের ভিসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিসা দেওয়া হবে।
সন্ত্রাসবিরোধী পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ও ভিপিএন ব্যবহার করে পরিচয় গোপন করছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির সঙ্গে কাজ করছে।
ইসলামাবাদ প্রশাসন জানিয়েছে, শহরে ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে এবং এর আওতায় কোনো সমাবেশ, র্যালি বা বিক্ষোভ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশসহ সব বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনারও ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
এদিকে কেপি সরকারের সম্পদ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি সম্পদ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ করা হয়, কেপি পুলিশের সদস্যদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে ইসলামাবাদে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে—এতে জড়িত সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।
এসব পরিস্থিতির মধ্যে পিটিআই ইমরান খানের সাক্ষাৎ সুবিধা সীমিত হওয়ায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ও আদিয়ালা জেলের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।