নিজস্ব প্রতিনিধি:
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার হোসেইন সালামি নিহত হওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুরকে নিয়োগ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
অন্যদিকে, ইরানের পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া শতাধিক ড্রোন ‘সফলভাবে ভূপাতিত’ করার দাবি করেছে ইসরায়েল। হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের প্রয়োজন নেই, তবে সবারই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে নতুন করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
ইরানি সরকার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে বলেছে, ‘এমন আক্রমণাত্মক রাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তির ভাষাতেই কথা বলতে হবে।’ তারা বলছে, ইসরায়েলের এই হামলা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা আরও জোরালো করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরানের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা এখন আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আরও স্পষ্ট।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) নিশ্চিত করেছে যে ইস্পাহান শহরের পারমাণবিক স্থাপনা ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং তারা ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
এই পরিস্থিতিতে তেহরান-তেল আবিব উত্তেজনা আরও বাড়ছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।