আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়া সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যুদ্ধবাজ ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়বে। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বুধবার (১৯ জুন) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স তার বক্তব্য প্রকাশ করে।
রিয়াবকভ বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করছি—ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বা এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করাও গোটা অঞ্চলে চরম অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।” তিনি আরও জানান, রাশিয়া বর্তমানে ইরান ও ইসরাইল উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, যাতে উত্তেজনা আরও না বাড়ে।
পরিস্থিতি চূড়ান্ত সংকটজনক: এসভিআর প্রধান
রুশ বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা (এসভিআর)-এর প্রধান সের্গেই নারিশকিনও এক বিবৃতিতে বলেন, “ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময়। সামান্য উসকানিতেই তা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।”
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তুতি ও বিস্ফোরক মন্তব্য
এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন ইসরাইলের পাশে থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছে।
ট্রাম্প এক বিস্ফোরক মন্তব্যে বলেন, “আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছে। তবে এখনই তাকে হত্যা করব না… যদিও আমাদের ধৈর্য শেষের পথে।”
রাশিয়ার ভূরাজনৈতিক বার্তা
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার এই অবস্থান শুধু কূটনৈতিক হুঁশিয়ারি নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি সম্ভাব্য নতুন ভূরাজনৈতিক সংঘাতের ইঙ্গিতও। বিশেষ করে যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরাইলের পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা রাশিয়ার প্রভাব বলয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
রাশিয়া বরাবরই ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে। আর মার্কিন-ইসরাইলি সামরিক তৎপরতার বিরোধিতা করে তাদের শক্ত অবস্থান দৃঢ় রেখেছে।
সূত্র: ইন্টারফ্যাক্স, রয়টার্স, সিএনএন.