আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলি আগ্রাসনে শহীদ হওয়া ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের সম্মানে আগামী শনিবার (২৯ জুন) তেহরানে একটি জাতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সরকারি কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা ও সাধারণ জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে। খবর দিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা তাসনিম।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে আজাদি স্কয়ার পর্যন্ত শোক র্যালির মধ্য দিয়ে এই জানাজার কার্যক্রম শুরু হবে। সকাল ৮টা থেকে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
ইসরাইলি হামলায় শহীদদের তালিকায় শীর্ষ কর্মকর্তারা
তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৩ জুন ইসরাইলের বিনা উসকানিতে শুরু হওয়া বিমান হামলায় ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনাগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে শহীদ হন ৬০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক। নিহতদের মধ্যে আছেন:
-
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরি – ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ
-
মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি – আইআরজিসি’র কমান্ডার
-
মেজর জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ – খাতাম আল-আনবিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার
-
মেজর জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ – আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার
-
একাধিক শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী
পাল্টা জবাব: অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ-৩’
হামলার পরপরই ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩’ নামের প্রতিশোধমূলক অভিযানে যায়। আইআরজিসি’র এরোস্পেস ইউনিট ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চলে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির টেবিলে যেতে বাধ্য করে বলে জানায় তেহরান।
শহীদদের দাফন
মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও তার কার্যালয়ের প্রধান জেনারেল মাসউদ শানেয়িকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নিজ শহর গোলপায়েগানে দাফন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই জাতীয় জানাজা ও শোক র্যালিকে ঘিরে তেহরানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইরানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব পুরো ঘটনার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।