আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগে সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এ সংক্রান্ত একাধিক পোস্ট করেন তিনি।
ট্রাম্পের মূল অভিযোগ:
-
সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন করেছে”
-
সংবাদমাধ্যম দুটিকে “ভুয়া সংবাদ প্রতিবেদকদের আখড়া” বলে আখ্যায়িত করেন
-
বিশেষভাবে সিএনএন-এর নাতাশা বার্ট্রান্ডকে তিন দিন ধরে “ভুয়া খবর” প্রচারের অভিযোগ তোলেন
গত সপ্তাহান্তে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একটি গোপন মূল্যায়ন ফাঁস হয়। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়, হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শুধু “কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে”। এই মূল্যায়নকে ট্রাম্প প্রশাসনের একাংশ “অতিরঞ্জিত ও অসম্পূর্ণ” বলে উড়িয়ে দেয়।
প্রতিক্রিয়া:
-
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড দাবি করেন, রিপোর্টটি “সন্দেহজনক সূত্র থেকে নেয়া”
-
ট্রাম্পের সমর্থকরা অভিযোগ করেন, এই রিপোর্ট “প্রেসিডেন্টের ইরান নীতিকে দুর্বল করার চক্রান্ত”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নভেম্বরে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে ট্রাম্প ইরান ইস্যুতে কঠোর অবস্থান দেখাতে চাইছেন। গত কয়েক মাসে ট্রাম্প বারবার মিডিয়াকে “ফেক নিউজ” বলে আক্রমণ করেছেন, যা তার মূল রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বলে মনে করা হয়। ট্রাম্প গত ৬ মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিডিয়া সমালোচনা করেছেন ১৪৭ বার, যার মধ্যে ৬৩ বার সিএনএন ও ৪২ বার নিউইয়র্ক টাইমসকে লক্ষ্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিতর্ক নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের জন্য নতুন ইস্যু যোগ করবে।