নিজস্ব প্রতিনিধি:
নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসপার ফেল্ডক্যাম্প গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের ঘটনায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার কেন্দ্র-ডানপন্থি নিউ সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট দলের এই নেতা জানান, তিনি অর্থবহ পদক্ষেপে ঐকমত্য আনতে পারেননি এবং মন্ত্রিসভায় তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন।
ফেল্ডক্যাম্প ইসরাইলের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন-গভিরের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেন এবং নৌবাহিনীর জাহাজের যন্ত্রাংশের তিনটি রপ্তানি অনুমতি বাতিল করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই অস্ত্র অবাঞ্ছিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।
তিনি তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, “আমি গাজায় ইসরাইলি হামলা, পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি ই১ নির্মাণ এবং পূর্ব জেরুজালেমের দখলদারিত্ব দেখছি। এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া আর দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।”
ফেল্ডক্যাম্পের পদত্যাগের পর তার দলের সব মন্ত্রী ও রাষ্ট্রমন্ত্রীও সংহতি জানিয়ে সরে দাঁড়ান। এর ফলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা চলাকালীন ইউরোপীয় ইউনিয়নে কূটনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, রটারডাম বন্দরে প্রায়ই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ নিয়ে জাহাজ ভিড়ে, যা পরে ইসরাইলি হামলায় ব্যবহৃত হয়। চলতি সপ্তাহের শুরুতে নেদারল্যান্ডস ২১ দেশের সঙ্গে যৌথভাবে ইসরাইলের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বলে নিন্দা জানিয়েছিল।