নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নতুন এই সিদ্ধান্ত ১২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসের জন্য একই আদেশ দেওয়া হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২-এর অধীন অপরাধগুলো আমলে নিয়ে সারাদেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন এবং ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন কেবল সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্য এই ক্ষমতা ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে পুরো বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) ক্যাপ্টেন বা সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও এই ক্ষমতার আওতায় আনা হয়।
শুরুতে ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে দফায় দফায় ৬০ দিন মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে সেই সময়সীমা আরও সাড়ে তিন মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
