নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এক কর্মকর্তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান এবং বেশ কয়েকজন দেশ ত্যাগ করেন। তবে এতদিন দেশে অবস্থান করলেও বুধবার (৭ মে) মধ্যরাতে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে তিনি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এএম নওশাদ।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান আবদুল হামিদ। সেখানে ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দেশত্যাগের সবুজ সংকেত পান তিনি।সূত্রমতে, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো সংস্থার কাছে সরাসরি অভিযোগ ছিল না। ফলে ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়।
আবদুল হামিদ ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন।