নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পাথর মেরে নিহত ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য প্রকাশ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, “হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় সোহাগ গত ১৭ বছর ধরে অ্যালুমিনিয়ামের পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা করছিলেন।” তিনি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বকে এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে সোহাগ এই অবৈধ ব্যবসা চালাতেন। পরবর্তীতে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর নতুন একটি গ্রুপ এই ব্যবসায় প্রবেশ করায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারা একে অপরকে আগে থেকেই চিনত।”
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ঘটনাস্থলে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের কথা জানিয়ে বলেন, “৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে আসামিরা মবিংয়ের পরিবেশ তৈরি করছিল এবং ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ স্লোগান দিচ্ছিল।” তিনি জানান, ঘটনার পরপরই মহিন ও রবিনসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে পাথর নিক্ষেপকারী দুইজনও রয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে।
আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, “যেকোনো নাগরিকের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে, তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো যোগসূত্র নেই।”