নিজস্ব প্রতিনিধি:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ২০২৪ সালের জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও নির্দেশদাতাদের দেশত্যাগের বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘জুলাই গণহত্যার বিচার, আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজওয়ানা হাসান স্পষ্টভাবে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে সক্ষম হলো, সেটিও বিচারের দাবি রাখে।” তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “জুলাই হত্যাকারীদের সমর্থকরা এখনও বিভিন্ন সেক্টরে সক্রিয় রয়েছে। তাদের সহায়তা ছাড়া খুনিরা এভাবে পালাতে পারত না।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “অনুপস্থিতিতে বিচার হলে ট্রাইব্যুনাল রায় দেবেন বটে, কিন্তু আসামিদের সত্যিকার অর্থে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না – এটি মেনে নেওয়া যায় না।” তার মতে, এই প্রক্রিয়ায় কেবল কিছু অভিযুক্ত শাস্তি পাবে, অন্যদের বড় একটি অংশ বিচারের বাইরে থেকে যাবে।
রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে হবে।” অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও মাইলস্টোন স্কুল বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ‘ট্রায়াল অব জুলাই কার্নেজ’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়, যা জুলাই হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা ও বিচার প্রক্রিয়াকে তুলে ধরে।