নিজস্ব প্রতিনিধি:
বহুল প্রতীক্ষিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, ঐতিহাসিক এই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ২টা ৫৭ মিনিটে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই তথ্য জানান। আয়োজক সূত্রের বরাত দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আয়োজন সুষ্ঠুভাবে চলছে এবং অতিথিদের অনেকে ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে পৌঁছেছেন।
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, আজকের এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
তবে সনদ স্বাক্ষরের আগে তিন দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভে নামে জুলাই যোদ্ধারা। তারা দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জুলাই যোদ্ধাদের দাবিগুলো ছিল— জুলাই সনদ সংশোধন, সনদকে সংবিধানে স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সনদে জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি প্রদান।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ আশ্বাস দেন যে সনদে জরুরি সংশোধন আনা হবে। দুপুরে মঞ্চে এসে তিনি বলেন, “আপনাদের সঙ্গে এইভাবে দেখা করতে হচ্ছে, আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। জুলাই যোদ্ধাদের দাবির ভিত্তিতে সনদের পঞ্চম দফায় জরুরি সংশোধন আনা হচ্ছে। যেখানে স্বীকৃতি, মর্যাদা এবং সুরক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
তিনি আরও জানান, “কমিশন ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আজকের এই দিনই শেষ কথা নয়, সরকারের ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর থাকবে।”
তবে আলী রীয়াজের বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে জুলাই যোদ্ধারা অবস্থান ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে তাদের সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরে যেতে হয়।