আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরান-ইসরাইল সংঘাতের উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়ার একটি মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস এবং দুর্ভোগের জন্য দায়ী ইসরাইল”—যা সঙ্গে সঙ্গে সাড়া ফেলে সম্মেলন কক্ষে এবং গণমাধ্যমে।
পরক্ষণেই নিজের বক্তব্য সংশোধন করে শিয়া বলেন, প্রকৃতপক্ষে ইরানকেই বর্তমান উত্তেজনার জন্য দায়ী করা উচিত। তিনি দাবি করেন, তেহরানের উচিত ছিল পারমাণবিক কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করতে চুক্তিতে আসা। সেই সঙ্গে ইরানের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে ইসরাইলের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তবে তার প্রাথমিক মন্তব্যটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় তোলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্য হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের ভেতরের কিছু গোপন অসন্তোষ বা মতপার্থক্যের ইঙ্গিত দেয়।
দীর্ঘদিন ধরে সমালোচকরা বলে আসছেন, ইসরাইলের আগ্রাসী নীতি এবং দখলদারিত্ব মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ও চরমপন্থার জন্ম দিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন থেকে ইসরাইল ইরানে ধারাবাহিক বিমান হামলা শুরু করে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলো। জবাবে ইরানও তেলআবিবসহ একাধিক ইসরায়েলি শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।
ইসরাইলের তথ্যমতে, ইরানি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানের দাবি, ইসরাইলি হামলায় তাদের দেশে ৬৩৯ জন নিহত এবং ১৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।