১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সুরুচিকর মর্যাদা কি হাসিনার প্রাপ্য: মারুফ কামাল

সাড়া ফেলেছে বইমেলায় ‘হাসিনা ডাস্টবিন’। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব প্রখ্যাত সাংবাদিক মারুফ কামাল খান এ বিষয়ে স্বৈরাচারের সমর্থনকারী সমালোচনাকারীদের প্রশ্ন রেখে বলেছেন, সুরুচিকর মর্যাদা কি হাসিনার প্রাপ্য? তিনি হাসিনা ডাস্টবিন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় রুচির ব্যাপারীদেরও একহাত নিয়েছেন।

মারুফ কামাল খান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে লিখেছেন, হাসিনার রেজিমের সময় তার ভাষা, মানুষের প্রতি মর্যাদাবোধ ও আচরণ আমরা দেখেছি ও শুনেছি। একই কথা প্রযোজ্য হাসিনার সমর্থক ও অনুগতদের বেলায়ও। রুচির এমন জঘন্য বিকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি তখন নিষিদ্ধ ছিল? নিষিদ্ধ না থাকলে রুচি ব্যাপারীদের তখন হাসিনা ও তার বান্দা-বান্দিদের পরিবেশ দূষণকারী বিকৃত রুচির বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়নি কেন?

তিনি বলেন, এখন হয়ত সে নিষেধাজ্ঞা আর নেই বলে রুচি ব্যাপারীরা একুশের গ্রন্থমেলার ‘হাসিনা ডাস্টবিন’কে রুচির বিকৃতি বলে নিন্দেমন্দ করছেন। আচ্ছা, সুরুচিকর মর্যাদা কি হাসিনার প্রাপ্য?

সোমবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ হাসিনার অরুচিকর আচরণ, কুৎসিত ভাষা ও ঘৃণাবাদের দ্বারা আক্রান্ত, অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে। খুন-খারাপি, জুলুম-অত্যাচারের বিচার আলাদা। অপমানিত নাগরিকেরা কি হাসিনার প্রাপ্য চুকিয়ে দেবে না? তাদেরকে সে অধিকার থেকে সুরুচির দোহাই দিয়ে কেন বঞ্চিত করা হবে?

আওয়ামী ফ্যাসিজমের অতীত অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, অতীতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ হাজারো অন্যায় অপরাধ করেও তাদের মাস্তানি এবং কালচারাল কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে পার পেয়ে গেছে। ভদ্রলোকেরা ওদের মাস্তানির আশঙ্কায় তটস্থ থাকেন। আর সাধারণ মানুষ কসমেটিক সার্জারি দেখে বিভ্রান্ত হন। এটাই অতীতের অভিজ্ঞতা। যার যা প্রাপ্য তা কি এবারেও দেওয়া যাবে না?

সমাজে অপরাধের প্রাপ্য নজির স্থাপন করতে হবে উল্লেখ করে মারুফ কামাল বলেন, যারা সুরুচিকর সম্মান পেতে চান তারা রুচিহীন বর্বরদের ডিজৌন করে আসুন। একমাত্র আওয়ামী লীগই যে-কোনো অন্যায় করার অধিকার রাখে এবং এটা কখনো তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে না – এই বিশ্বাস পাল্টাতে হবে। অন্যায় এবং সেই অন্যায়ের প্রতিবিধানকে একই পাল্লায় মাপার শয়তানিকে খারিজ করে দিতে হবে। অপরাধের প্রাপ্য এই – আমাদের সমাজে সে নজির স্থাপন করতে হবে। তা না হলে সমাজে কখনোই সুরুচি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top